শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০১:৫৫ অপরাহ্ন
আলমগীর হোসেন,ডোমার(নীলফামারী) প্রতিনিধি: নীলফামারীর ডোমার উপজেলার পাঙ্গঁা মটুকপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামের নেই চলাচলের রাস্তা। জনদুর্ভোগে প্রায় ওই গ্রামের ২৫০শ জন মানুষ। তারা ভাত,কাপড়, বাসস্থান চায় না, চায় শুধু একটি চলাচলের রাস্তা। গ্রামটি হঠাৎপাড়া নামে পরিচিত যাহা ওই ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে অবস্থিত। দীর্ঘদিন থেকে রাস্তার জন্য চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন হঠাৎপাড়া গ্রামের মানুষ। সারা বছর জমির আইল দিয়ে চলাচল করতে হয় তাদের। প্রধান সড়ক থেকে গ্রামটি ৫শ মিটার দুরত¦ হলেও রাস্তা না থাকায় সব দিক থেকে বঞ্চিত গ্রামটির মানুষ।
শিশু শিক্ষার্থী তাসিব ইসলাম বলেন, বর্ষাকালে আমরা তিন মাস স্কুলে যেতে পারিনা। দোলার মাঝ খানে আমাদের গ্রামটি। রাস্তা না থাকায়, বর্ষার পানি নেমে না যাওয়া পর্যন্ত আমরা স্কুল যেতে পারি না। সরকারের কাছে দাবী আমাদের গ্রামটির জন্য যেন একটি চলাচলের রাস্তা তৈরী করে দেন। তাসিব মেলা পাঙ্গঁা ভাটিয়া পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩য় শ্রেণীতে পড়ে।
হটাৎপাড়া গ্রামের ৮৫ বছর বয়সী নিপুছা মামুদ বলেন,আমাদের পাশের গ্রামে ডোমার উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মালেকের বাড়ী। আমরা গ্রামবাসী রাস্তার ব্যাপারে অনেকবার বলেছি। কিন্তু রাস্তা আর হইলো না।
হটাৎপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ভ্যান চালক আমিনার রহমান বলেন, আমি সারা দিন ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি। রাস্তা না থাকায় অটো ভ্যান নিয়ে আসতে পারেন না নিজের বাড়ীতে। তিনি আরো জানান গ্রামটিতে ৮টি অটোভ্যান রয়েছে সবগুলো ভ্যান মানুষের বাড়ীতে রেখে আসতে হয় তাদের।
ইউপি সদস্য লিয়াকত আলী বলেন, এই গ্রামের কেউ অসুস্থ হলে, গ্রামও ডাক্তার যেতে চায় না। নেই বাই সাইকেল কিংবা মটর সাইকেল যাওয়ার রাস্তা। ওই গ্রামের কৃষকরা ধান,চাল,ভুট্টা বিক্রি করলে বাজার মুল্যের চেয়ে মণে ২শ টাকা কমে বিক্রি করতে হয়। আমি ইউপি সদস্য হয়ে রাস্তাটির বিষয়ে উর্ধতন কতৃর্পক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এব্যাপারে পাঙ্গঁা মটুকপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম ভুট্টু বলেন, প্রধান সড়ক হতে গ্রামটি যেতে আশে পাশের জমির মালিক যদি আইল থেকে ২/৩ হাত করে জমি দেয় তাহলে রাস্তাটি করা সম্ভব। জমি না দেওয়ায় রাস্তা করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে আইল দিয়ে চলাচল করছে গ্রামটির মানুষ।
উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক সরকার বলেন, গ্রামটির জন্য একটি রাস্তা প্রয়োজন। ()